পুরুষ এবং মহিলাদের চুল পড়ার কারন সমূহ।
উত্তরাধিকার সূত্রে টাকের কারন / androgenetic চুল পড়া / জন্মগত চুল পড়া
চুল পড়ার অনেকগুলো কারনের মধ্যে টাক সমস্যা হয় সাধারনত কোন রোগের কারনে, পুষ্টির ঘাটতি অথবা জ্বিনগত চুল পড়ার বাহ্যিক প্রভাবে (উত্তরাধিকারসূত্রে টাক- alopecia androgenetica) । এইসবই মুল কারন নারী এবং পুরুষের স্থায়ী টাক হওয়ার।
জ্বীনগত (androgenetic) চুল পড়া সাধারনত পুরুষের DHT (Dihydrotestosterone) হরমোন এর পুর্বাভাস দ্বারা প্রকাশিত হয়। এই অবস্থা পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে কেবল লক্ষণগুলি ভিন্ন হয়। পুরুষের ক্ষেত্রে সামনের চুলের গোড়া থেকে মাথার তালু হয়ে টাক দেখা যায় আর মেয়েদের ক্ষেত্রে পুরো মাথা জুড়ে চুল পড়ে পাতলা হতে থাকে।
চুল পড়ার সময় রোগীর সেব্রাম উৎপন্নের কারনে চুল কাটা এবং আকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এই মুহুর্তে androgenetic hair loss (উত্তরাধিকারসূত্রে টাক) সফলভাবে আধুনিক ঔষধ এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব। ভেষজ গবেষণার সৃষ্টি দুইটি ঔষধ চুল পড়া বন্ধে খুব ভালো কাজ করেঃ
– Finasteride (পিল) পুরুষের জন্য (১ মিলি)।
– Minoxidil (মলম জাতীয়) পুরুষ মহিলা উভয়ের জন্য।
যেহেতু ঔষধ উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া টাক রোধে ব্যপক কাজ করে তাই ডাঃ ক্রেম তার রোগীদের ব্যাক্তিগতভাবে এই ঔষধ সেবনের পরামর্ষ প্রদান করেন। এই ঔষধ বিশেষ করে কম বয়সী এবং চুল পড়ার শুরুর দিকে বেশী গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে। এই মুহুর্তে কার্যকর ঔষধ ও স্থায়ী চুল পড়া রোধ করতে পারেনা। তাই চুল প্রতিস্থাপন এবং পুনরুদ্ধার সার্জারীই ভাল ফলাফল আনতে পারে। যখনই রোগী ঔষধ সেবন বন্ধ করে দেন ঠিক তার ৬ মাসের মধ্যেই আবার আগের সমস্যা ফিরে আসে।
Finasterid পিল ১মিলি প্রতিদিন সেবনের ফলে পুরুষ রোগীদের চুল পড়া স্থির কিংবা সাময়িক ভাবে বন্ধ করতে পারে, যেকোন ধরনের চুল প্রতিস্থাপন এর পর বিদ্যমান চুলের স্থায়িত্বের জন্য দীর্ঘ সময় ঔষধ সেবনের প্রয়োজন পড়ে।
ডাঃ ক্রেম এবং আমাদের চিকিৎসক দল আপনাকে জ্বীনগত চুল পড়ার কারন এবং প্রভাবগুলি সম্পর্কে জানাবেন এবং পরবর্তী করনীয় এবং চিকিৎসা সম্পর্কেও তথ্য প্রদান করবেন।